প্রিয় স্বদেশভূমির কোনো জেলাকে ছোট বা বড় অথবা মনে আঘাত দেওয়া এই ফিচারের উদ্দেশ্য নয়। নেটে প্রাপ্ত তথ্য থেকে স্রেফ মজা করার জন্যই এটা তুলে ধরা হলো। তাই এ জরিপ শতভাগ ত্রুটিমুক্ত, এটা দাবির কোনো সুযোগ নেই। জেনে নিন, বর হিসেবে কোন জেলার ছেলেরা কেমন হয়।
ঢাকা: বিয়ের আগে ছেলেরা অনেক টাংকি মারে। তবে বিয়ের পরে বউয়ের প্রেমে মশগুল থাকে। পরকীয়ার সম্ভাবনা কম। বেশিরভাগই পিতার ব্যবসা করতে পছন্দ করে। পড়ালেখার হার কম। খুবই মিশুক আর বেজায় চালাক আর তারা কথায় বেশ পটু হয়। তারা বেশির ভাগই বৌপাগল।
বিক্রমপুর: নিজেদের অনেক উঁচু জাতের মনে করে। তাই সমমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ খুঁজতে হিমশিম খায়। তবে এই এলাকার মানুষগুলো সহজ সরল। তারা ব্যবসা ভালো বুঝে। এরা অন্য জেলার মেয়েদের চেয়ে ঢাকার স্থানীয় মেয়েদের সাথে আত্মীয়তায় আগ্রহী।
নারায়ণগঞ্জ: তারা খুবই রসিক মনের হয়। কিন্তু অন্যের জাঁকজমকের প্রতি হিংসা, কটূক্তি করে অহরহ। অন্য জেলার মেয়েদের চেয়ে স্থানীয় মেয়েদের সাথে আত্মীয়তায় আগ্রহী। একাধিক প্রেম করে।
সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ: লেখাপড়া কম, সবাই লন্ডন যাওয়ার চিন্তা করে। হাতে কাঁচা টাকা বেশি। ধর্মভীরু, বউকে পর্দানশীল হিসেবে দেখতে ভালোবাসে। একটু অলস টাইপের। বোরকাওয়ালি মেয়ে বেশি পছন্দ করে।
চট্টগ্রাম: ছেলেরা মোটামুটি রক্ষণশীল। বেশিরভাগই ব্যবসায়ীর ছেলে। ব্যবসা করতেই পছন্দ করে। বউদের গয়না, শাড়ি কাপড় দিয়ে সব সময় খুশি রাখার চেষ্টা করে, ঈদ আসলে সেটা বুঝা যায়। যৌথ পরিবারে থাকতে পছন্দ করে। পরকীয়া দেখা যায় না। তবে এই জেলার মানুষদের সাথে আতিথেয়তাতে কেউ টেক্কা দিতে পারবে না।
বরিশাল: ছেলেরা বিয়ের আগে ভালোই টাংকিবাজ থাকে। বিয়েটা যদি বরিশালের কোনো মেয়ের সাথে হয়, তবে ভাজাভাজি সংসার। এই ছেলে যদি অন্য কোনো জেলার মেয়েকে বিয়ে করে, তবে মেয়ের এডজাস্ট করতে অনেক সময় লাগে। বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য জেলার মেয়েদের কাছে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম পছন্দের এ জেলার ছেলেরা। ফ্যামিলিগতভাবেই এ জেলার ছেলেদের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে অনেকেই অনাগ্রহী।
নোয়াখালী: এই এলাকা সম্পর্কে বেশি বলার নাই, সবাই জানে, নোয়াখালীর ছেলেরা কেমন। স্বার্থপর। তবে নিজের বউয়ের জন্য সাতসাগর পাড়ি দিতে পারে। বেশ কর্মক্ষম, পরিশ্রমী। তাই জীবনে উন্নতি অনিবার্য।
রাজশাহী: এখানকার ছেলেরা একটু ল্যুজ টাইপের হয়। তবে পড়ালেখায় ভালো। বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ির সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে।
রংপুর, দিনাজপুর: ছেলেরা সাদামনের ঠিকই কিন্তু কৃপণ। অনেকেই স্মার্ট নয় বলে এদেরকে পছন্দ করতে চায় না। তবে বিয়ের পাত্র হিসেবে ছেলে হিসেবে এরা মন্দ না।
চাঁদপুর: চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপির থেকেও বেশি। একটা সহজ জিনিসকেও জটিল করে চিন্তা করতে পছন্দ করে এই জেলার ছেলেরা। কিছুটা সন্দেহ বাতিকও থাকে।
কুমিল্লা: মারাত্মক সন্দেহপ্রবণ, সবসময় বউকে চোখে চোখে রাখতে পছন্দ করে। ছেলেদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতাও আছে। তবে ছেলেরা বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে।
ফরিদপুর: মানুষগুলা একটু কিপটা স্বভাবের। তবে একবার এডজাস্ট হয়ে গেলে পরে সমস্যা হয় না।
গোপালগঞ্জ: এই জেলার ছেলেরা এক নারীতে সন্তুষ্ট নয়। প্রেম করেও একসাথে একাধিক মেয়ের সাথে। বিয়ের পরে পরকীয়ারও চান্স নিতে চায়।
খুলনা: এই জেলার ছেলেরা ভেড়া টাইপের, বউ সবসময় মাথায় ছড়ি ঘোরায়, বউয়ের প্রেমে পাগল থাকে সবসময়। তবে ব্যতিক্রমও আছে।
ময়মনসিংহ: এখানকার ছেলেরা মারাত্মক রোমান্টিক কিন্তু পরকীয়াও করতে চায়।
গাজীপুর: পড়ালেখা কম, শুধু জায়গাজমির হিসাব করতে বেশি পছন্দ করে। এক একজন অনেক পরিমাণ জায়গার মালিক। জায়গা বিক্রি করে, হোন্ডা কিনে, তাদের সব প্রভাব হলো পৈতৃকজমিকে নিয়ে। নিজে কিছু করার ইচ্ছে থাকে না।
টাঙাইল, সিরাজগঞ্জ: অনেক নদীভাঙা মানুষ আছে, যারা ঘরজামাই হতে বেশি পছন্দ করে। তবে মানুষগুলো ভালো, কিন্তু কিছু আছে টাকাওয়ালা শ্বশুর দেখে বিয়ে করে সম্পত্তির জন্য।
ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর: এইদিকের মানুষগুলো একটা বোকাসোকা টাইপের। কারো সাথে-পাচেও নাই। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে তারপরও বিয়ের পাত্র হিসেবে অন্য জেলার মেয়েদের কাছে সবচেয়ে কম পছন্দের এসব জেলার ছেলেরা।
রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি: যারা বাঙালি আছেন, তাদের অনেকেরই পূর্বপুরুষ বার্মা থেকে আগত। রুক্ষ স্বভাবের; বদমেজাজীও।
বগুড়া: ছেলেরা টাউট প্রকৃতির হয়। কিন্তু তাদের সবটুকু ভালোবাসা শুধু বউয়ের জন্যই থাকে।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের ছেলেরা অলস প্রকৃতির তবে মন ভাল, ভালবাসা পেলে ভালবাসার জন্য মরতে প্রস্তুত।
যশোর, চুয়াডাঙ্গা: ছেলেরা চরম অলস (খালি ঘুমায়), একসাথে কয়েকটা প্রেম চালিয়ে যায়; মেয়ে পটাতে ওস্তাদ … তবে ক্যারেকটার ভালো।
পাঠকের মতামত